WE ARE UPDATING OUR SITE.PLEASE STAY WITH US

Friday, January 9, 2015

ভেবেছিলাম আকাশ হব


ভেবেছিলাম আকাশ হব,
হতে আমি পারিনি
তাই সাদা মাখা নীল আমি আজও দেখেনি |
ভেবেছিলাম ভোরের রোদ হব,
হতে আমি পারিনি,
তাই সোনালী সকাল তোমায় দিতে পারিনি |
ভেবেছিলাম আরো লিখবো কিন্তু আমি পারিনি |
আমি কোনো দিনও তোমাকে ছাড়তে চাইনি
তবে ছাড়াটা কখনো আমাকে ছাড়েনি |

অমূল্য উপহার


সবাই বলে, আমি ভুল করেছি
এক সাথে এত গুলো ফুল ছিড়েছি |
দেবার মত চুলের খোঁপা ছিল না আমার
তাই বইয়ের পৃষ্টার ফাঁকে ফাঁকে বসবাস |
পচে শুকিয়ে গেছে__
সবাই বলে কেমন যেন
দুর্গন্ধ বের হচ্ছে আমার দেহ থেকে |
সম্ভবত,মাতলা মাতলা|
মদ খাওয়া মাতালের মত_
ডাসবিনের পঁচা খাবারের মত_|
আমি বলি তোমরা ভদ্র সমাজ_
মাতলামি পছন্দ করো না কিন্তু
গোপনে গোপনে মাতাল থাকা তোমাদের কাজ |
আর ডাসবিনের পচাঁ খাবার
সে-তো না পাওয়াদের কাছে অমূল্য উপহার__|

ধুলোময় আমি


আরতো কটাদিন তার পরতো চলেই যাব।
বর্যা আসছে,আষাঢ় আসছে।
ও তুমি তো জান না।
আসছে বর্ষা আসছে ।
আমি তো ধুয়ে চলে যাব এই বর্ষার জলে।
আরতো খেলা করতে পারবো না
তোমার পায়ে ধুলে হয়ে।
তবে চিন্তা করো না,
আবার ফিরে আসবো
কোনো এক চৈত্রে ধুলো হয়ে ।
খেলা করবো তোমার পায়ে,
তুমি আবার হাটবে আমার বুক জুড়ে।

হাজার টাকার সুখ


চারটে দেয়ালে ঘেরা আমার ঘর|
আছে বিছানা,দেয়ালে ঝুলানো কাপড়|
টেবিলের উপরে পদার্থ,রসায়ন,জীব|
পাশেই পরে রয়েছে সিগারেট
ফ্লোরে পরে রয়েছে পেন্ট-শার্ট,
এক জনে সালোয়ার-কামিজ,পায়জামা|
বিছানায় কোমল মরা দেহ|
হালকা চিৎকার,গায়ে নখের আচর|
সুখ সুখ হাজার টাকার সুখ|
সুখ ফুরালে স্নান,দেহ থেকে ঝরে পরছে
হাজার টাকার সুখের গন্ধ|
এই হাজার টাকার সুখ আমার শহরের জন্য|

ভালোবাসা থাকো তুমি


ভালোবাসা তুমি
১৪ ফেব্রুয়ারী তে থাকো |
হাজার ফুলের বিনিময়ে থাকো |
তরুণের হাত থেকে তরুণীর হাতেই থাকো |
থাকো ফুসকায়,
থাকো বসে থাকা গল্পে,
থাকো কোনো আইসক্রিমে |
ভালোবাসা থাকো তুমি পাতার ভাজে,
কারো ফোন থেকে ফোনে |
ভালোবাসা থাকো পকেটে,বেগে |
ভালোবাসা থাকো তুমি চোখে চোখে,
খাইয়ে দেওয়া কারো প্রিয় মানুষের হাতে |

ভূত হয়ে দেখতে চাই


আমি একবার মরে
ভূত হয়ে দেখতে চাই |
__আমি একবার মরে ভূত হয়ে দেখতে চাই
তুমি কার মাথায় হাত বুলাও |
তোমার বুকে মাথা রেখে কে ঘুমায় |
কাকে নিয়ে দেখ স্বপ্ন |
কার জন্য বাঁধ চুল
কার জন্য পড় কানে দুল |
আমি এক বার মরে ভূত হয়ে দেখতে চাই
তুমি কতটা আপন কারো !

কুয়াশার উপহাস একান্ত আমার উদ্দেশ্যে


কুয়াশা এবার ও আমায় উপহাস করলো |
করারি কথা_আমি আর সে তো হাজার বছর ধরেই একা |
কুয়াশা_এবারো হলনা-আমি একাই হাটলাম তোমার ভিতর দিয়ে |
পায়ে মাখালাম শিশির |
সেও একদিন হেসে বলে_কি এবারো এলনা!
ঈষাৎইদ শুনছো,
সবাই আমায় উপহাস করছে
তুমি এবারও আসলে না বলে|
তবে সত্যকি জান_?
এরা সবাই তোমাকে দেখতে চায় |
তোমার হাসি শুনতে চায় |
বিশেষত_এরা সবায় তোমাকে ছুতে চায় ঠিক আমার মত |
কিন্তু তুমিতো এলেনা |
কিছু দিন আর বাকি আছে আশা করি আসবে |
আমরা সবাই অপেক্ষায় থাকলাম |
ইতি_ তোমার,
আকাশ_কুয়াশা_আর_শিশির ||

Thursday, January 8, 2015

তোর শহরে আমায় আর ডাকিস না


তোর শহরের বায়ুতে আছে নেশার নিকটিন,
নিঃস্বাসে প্রবেশ করে দেহে |
নিত্য না নিলে এখন আর ভালোলাগে না |
তোর শহরের আপছা নিয়ন আলোয় ঠোটের নিরমলতা
এখন না পেলে আর ভালোলাগে না |
তোর শহরের কলাহল রাতে কানে না গেলে আর ঘুম ধরে না,
তাই তোকে না ফোন করে আর ঘুমাতে পারি না |
তোর শহরে এসে কত বদ অভ্যাস হয়েছে আমার |
তাই আমাকে আর তোর শহরে ডাকিস না |
এবার এলে যতটুকু ভালো আছি তাও থাকতে পারবো না |
তোর শহরে আমাকে আর ডাকিস না.....!!

নীল রং এর আলো গুলো


নীল রং এর আলো গুলো আমাকে ঘিরে ধরে |
নীল রং বেদনার বলে |
বেদনাই আমার ভালোবাসা |
বেদনা তোকে অনেক ভালোবাসি |
তুই আমার বুকেরভেতর চিন চিন করা বেথা দিস,
আজকাল এটা নেশার মত নিত্য বেথা না পেলে
আমার আর চলে না |
নীল বেদনা আজ রাতের জন্য,
এক গ্লাস নীল আলো দে |
আমি আজ রাতে ঘুমোতে চাই না |
নির্ঘুম রাত তোকে জড়িয়ে গল্পো করবো |
বেদনা এক গ্লাস নীল আলো দে |

ভালো আছি

ক্যামন আছেন ? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই প্রশ্নের উত্তরে ঠোঁটের কোনে বিরক্তির চিহ্ন একে আমরা জবাব দেই "ভালো নেই" কিংবা দীর্ঘশ্বাস মেশানো কন্ঠে বলি " এই আছি আর কি " । " ভালো নেই " - কথাটি চিন্তা ভাবনা ছাড়া খুব সহজেই আমরা বলে ফেলি। আমরা ভালো থাকি না । কারন আমার প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা আমার জন্মদিন ভুলে গেছে,আমার পোষা বিড়াল অসুস্থ,আমি ফ্যানের নিচে বসে ঘামছি,রাস্তার জ্যামে বসে আছি ,আমার পছন্দ মতো রান্না হয় নি ,বাবা- মা পড়াশোনার জন্য "ঘ্যান ঘ্যান" করে , প্রিয় নায়ক কে "অমুক" সেক্স বম্বের সাথে দেখা গিয়েছে - এমন হাজার-লক্ষ কারনে আমরা ভালো থাকি না । ফেসবুকের ফিডে " মাথা ব্যাথায় মরে যাচ্ছি" , " পরীক্ষা জঘন্য হয়েছে বেঁচে থেকে কি হবে ", " অমুক আমাকে ছেড়ে তমুকের ছবিতে লাইক দিয়েছে,হে জীবন তুমি এতো নিষ্ঠুর কেনো"- এই ধরনের স্ট্যাটাস ভেসে বেড়ায় । আমরা খুব সহজেই মরে যাই , খুব সহজেই আমাদের জীবন নিষ্ঠুর হয়ে যায়। ফার্মগেটে আনন্দ সিনেমা হলের সামনে এক মহিলা তার পূর্ণ বয়স্ক প্রতিবন্ধী ছেলেকে কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। ছেলের নাকের সর্দি - মুখের লালাতে তার ঘাড় মাখামাখি হয় । সে রোজ সকালে ছেলেকে কাধে নিয়ে খাদ্যের সন্ধানে মানুষের কাছে ঘুরে বেড়ায় যাকে আমরা বলি ভিক্ষা করা । তিন বেলা খাবার জোটানোর সাথে সাথে সে মানুষের গালি , ঘৃণা , অবজ্ঞা এসব ও মুঠো ভরে যোগায় । আমাদের মতো তিনিও "ভালো নেই"। ফার্মগেটের আরেক দিকে রোকেয়া পার্কের কাছে কোনও এক মন খারাপ করা বিকালে ২-৩ বছরের এক শিশু কে ফুটপাথে্র ধুলা বালিতে গড়াগড়ি খেতে দেখেছিলাম। শিশুটির পা লোহার শেকল দিয়ে ফুটপাথের গ্রিলের সাথে বাঁধা । মা সম্ভবত পেটের দায়ে কাজে গিয়েছে । জীর্ণ ময়লা সেন্ডু গেঞ্জি পড়া সেই শিশু কিংবা বুকের মানিক কে শেকল দিয়ে বেধে কাজে যাওয়া সেই মা - দুই জন ই আমাদের মতো "ভালো নেই" । বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ রাত পোহালে চোখ ডলতে ডলতে ভাতের সন্ধানে তাদের দিন শুরু করে । তাদের মাথা জুড়ে শুধু থাকে শুভ্র সাদা ভাতের ছবি । মাছ মাংস কিংবা কোনও লোভনীয় তরকারি না , শুধু সাদা ভাত , কাচামরিচ এবং ডাল। হ্যাঁ আমি সেই ভাতের কথা ই বলছি আমার- আপনার ফ্রিজে যে ভাত অযত্নে অবহেলায় পচে , মন মতো তরকারি না হলে যে ভাত আমরা খেতে চাই না , মাঝে মধ্যে আঠার অভাবে যে ভাত দিয়ে আমরা কাগজ লাগাই । পহেলা বৈশাখে পানি দিয়ে পান্তা বানিয়ে বাঙালি সাজি , সেই ভাত । ভাতের কষ্ট কি জানেন ? করেছেন কখনও ? শাহবাগ থেকে টি এস সি যেতে ফুটপাথে সস্পেনে ভরে ভাত বেচা হয় । রিস্কাচালক, ভ্যান চালক রা শ্রান্ত- পরিশ্রা ন্ত দেহে সেই সাদা ভাত লবন-পিয়াজ-মরিচ- ডাল দিয়ে মেখে বড় বড় লোকমাতে যখন খায় তখন তাদের দেখলে বোঝা যায় ভাতের কষ্ট কি । তারাও আমাদের মতই "ভাল নেই" । কখনও হসপিটাল ঘুরে দেখেছেন ? সাদা বেডে শুয়ে থাকা কিছু মানুষ মরে গিয়ে বাঁচতে চায় । তারা বাঁচার জন্য প্রার্থনা করে না। মরার জন্য করে । তারাও ভালো থাকে না । আমাদের মতই তাদের জিজ্ঞেস করলে উত্তর আসে -"ভালো নেই " কোনও এক সকালে কান্নার শব্দে আমার ঘুম ভাঙ্গে । দেখি আমার পাশের বেডে শুয়ে থাকা মানুষ টা নড়াচড়া করছে না । লোকটির যে ক্যান্সার হয়েছে পুরা বিশ্বে ১০০ জনের সেই ক্যান্সার হয়নি । দুরারোগ্য সেই ক্যান্সারের ওষুধ ই এখন ও আবিষ্কার হয় নি । আগের রাতে তার ছোট ছেলের সাথে আমার ঘণ্টা খানেক আড্ডা হয়েছে । আমি তাকে বাংলাদেশের ব্যান্ডের গান দিয়েছি । ছেলেটার স্বপ্ন ডাক্তার হবে । যে বয়সে আমরা প্রেমিক প্রেমিকার সাথে ঝগড়া করে স্ট্যাটাস দেই " লাইফ সাকজ/ লাইফ ফাকজ " সেই বয়সে সে বাবা কে নিয়ে হসপিটালে দৌড়ায় আর চোখে স্বপ্ন রাখে ডাক্তার হয়ে এই ক্যান্সারের চিকিৎসা করার । বাবার নড়াচড়া থেমে যাওয়ার মুহূর্তে সেই ছেলে টাও ভালো ছিলো না,আমাদের মতই । দিল্লির সেই ধর্ষিতা মেয়েটিও ভালো ছিলো না যখন ৫ জন হিংস্র পশু তাকে ছিড়ে খুঁড়ে খাচ্ছিলো । তার যোনি ক্ষত বিক্ষত করে ক্ষুদ্রান্তটি যে মুহূর্তে টেনে বের করে আনে সেই মুহুরতেও সে ভালো ছিলো না , যখন তাকে অত্যাচার শেষে বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় তখন সে কিংবা তার সাথের সঙ্গি টি ভালো ছিলো না । মেয়েটির পরিবার মেয়েটির অবস্থা দেখে ভালো ছিল না । আমাদের মতই তারা ভালো ছিল না। সিরিয়াতে বন্দুকের গুলি খাওয়া ছোট্ট শিশু টি মৃত্যুর আগে বলেছিল -"ঈশ্বরকে আমি সব বলে দিবো ।" তার ছোট্ট কোমল মনে প্রশ্ন ছিল এতো কষ্টের কারন কি? সে তো কারো ক্ষতি করে নি । মৃত্যু যন্ত্রণা থেকে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে না পাওয়ার কষ্টটা বেশি ছিল । ছেলেটিও ভালো ছিল না ,আমাদের মতই । আমরা খুব সহজেই বলে ফেলি আমরা ভালো নেই । জানি না "ভালো নেই" কথাটা বলার স্পর্ধা আমরা কোথায় পাই । এরপর যখন ই বলবেন ভালো নেই উপরের মানুষ গুলোর জায়গায় নিজেকে অন্তত একবার বসিয়ে দেখবেন । আশা করি কিছুটা হলেও ভালো থাকবেন।

এক কাপ কফি

এক কাপ কফি এক কাপ কফি হাতে নিয়ে, চুমুক বসাই ঘন ঘন | আজ কাল আমার কফিই ভালোলাগে, চা না ! ওটা তোমার প্রিয় বলে | সেল ফোনটা ভাইব্রেট মুডে | ভেন ভেন করে প্রায় সময় | তোমার কল তাই আর রিসিভ করি না | ভাবছো এত অবহেলা কেন_! অবহেলা কারণ_ ভালোবাস অবহেলাই, অবহেলা বলেই এত প্রেম, এত চাওয়া, এত কল, কতো এত কিছু | সত্য কথা শুন, আজ আমি অবহেলা করছি, তুই একদিন করবি আর এই পৃথিবী একদিন করবে | তাই আগেই করছি, পৃথিবীর সাথে পারবো না | তাই তোকে নিয়েই মজেছি মাইন্ড করিস না ||

হীনমন্যতায় ভুগা এবং সমাধান

 সমাধান


অনেকেই নিজের সৌন্দর্য, যোগ্যতা এবং সফলতা নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগে থাকেন। আয়নায় তাকিয়ে আর একটু সৌন্দর্যের জন্য আফসোস করেন নি এমন মানুষ পাওয়া যাবে না, নিজের যোগ্যতাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন নি এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। এমনকি জীবনকে সফলতার মাপকাঠি দিয়ে মেপেও অনেকে হীনমন্যতায় ভুগে থাকেন। কিন্তু এই কাজটি করা একেবারেই উচিত নয়। এতে বরং আপনি নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাবেন। আত্মবিশ্বাস হারালে জীবনটাকে নিয়ে আরও বিপদে পড়ে যাবেন। তাই হীনমন্যতা দূর করে দিন। নিজেকে একেবারেই তুচ্ছ ভাববেন না। হীনমন্যতায় ভোগা সমস্যায় আপনি একা নন যদি নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন এবং নিজের ভাগ্যকে সব সময় দোষারোপ করতে থাকেন তবে মনে রাখবেন এই তালিকায় থাকা মানুষ আপনি একা নন। আপনার মতো অনেকেই এমন রয়েছেন যারা নিজের অনেক কিছু নিয়েই হীনমন্যতায় ভুগে থাকেন। আপনি অন্যদের থেকে নিজের প্রতিভায় সম্পূর্ণ আলাদা নিজের যোগ্যতা নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগে থাকলে মনে রাখুন সৃষ্টিকর্তা আপনাকে আপনার নিজস্ব কিছু গুণ দিয়ে পাঠিয়েছে যা অন্য কারো মধ্যে নেই। সেই যোগ্যতাকে কাজ লাগান। ভুলেও নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগবেন না। আপনি সবকিছুতেই পারফেক্ট খোঁজেন যা একেবারেই উচিত নয় হীনমন্যতায় ভোগার পেছনে আরেকটি কারণ হচ্ছে পারফেক্ট জিনিসের পেছনে ছুটে চলা। যখন কাজ পারফেক্ট করে করা হয় না এবং পারফেক্ট জিনিসটি পাওয়া যায় না তখন মানুষের মনে হীনমন্যতা জন্মায়। কিন্তু মনে রাখবেন, পৃথিবীর কোনো জিনিসই একেবারে পারফেক্ট নয়। তাই হীনমন্যতায় ভুগবেন না। আপনার প্রথমে নিজেকে ভালবাসতে হবে যারা নিজেকে ভালোবাসতে পারেন না তাদের মনেই নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতার সৃষ্টি হয়। কিন্তু ভুলে যাবেন না আপনি নিজে যদি নিজেকে ভালোবাসতে না পারেন তবে কেউই আপনাকে ভালোবাসতে পারবে না। প্রথমে নিজেকে ভালবাসতে শিখুন। দেখবেন সব কিছুই ধীরে ধীরে নিজের মতো করে পাওয়া শুরু করবেন। নিজের ভুলগুলোকে ধরে রাখা বন্ধ করতে হবে মানুষ ভুল করেই শিখে থাকেন। ভুল থেকে শুধুমাত্র শিক্ষা গ্রহন করা উচিত। সেই ভুলটাকে ধরে রেখে নিজে হীনমন্যতায় ভোগা উচিত নয় একেবারেই। এতে করে আবার একই ধরণের ভুল করার প্রবণতা বেড়েই চলে। আপনার ভবিষ্যত আপনার হাতেই, অন্য কেউ গড়ে দেবে না আপনি নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগলে শুধুমাত্র নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস হারাবেন। এতে করে নিজের প্রতি সম্মানও হারিয়ে ফেলবেন। কোনো কাজই সঠিকভাবে করতে পারবেন না। এর প্রভাব পড়বে আপনার ভবিষ্যতের ওপর। সুতরাং হীনমন্যতায় ভোগা বাদ দিন। নিজের ভাগ্য ও ভবিষ্যত নিজের যোগ্যতা ও প্রতিভা দিয়ে নিজেই গড়ে নিন।

Wednesday, January 7, 2015

পদার্থ বিজ্ঞানের কিছু সাধারণ প্রশ্ন এবং উত্তর

                                Physics general tips

পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা অণু ।পদার্থের স্থায়ী মূল কণিকা ইলেকট্রোন, প্রোটন ও নিউট্রন ।তেজস্ক্রিয় রশ্মিতে থাকে আলফা, বিটা ও গামা কনিকা ।পদার্থের পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা ও পারমাণবিক সংখ্যা পরস্পর সমান ।পৃথিবী ও উহার নিকটস্থ মধ্যকার বস্তুর আকর্ষণ বলকে বলে অভিকর্ষ বল ।বরফ গলনের সুপ্ত তাপ ৮০ ক্যালরি ।শূন্য ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় শব্দের গতি ৩৩২ মিটার/সেকেন্ড ।সুর্যোদয় ও সুর্যাস্তের সময় আকাশ লাল দেখায় লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি বলে ।সূর্য থেকে পৃথিবীতে আগত রশ্মি সৌর রশ্মি ।পৃথিবী ঘূর্ণায়নের ফলে আমরা ছিটকিয়ে পড়ি না মধ্যাকর্ষণের জন্য ।প্রেসার কুকারে রান্না তারাতারি হওয়ার কারন উচ্চ চাপে তরলের স্ফুটনাংক বৃদ্ধি পায় ।চা তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয় কালো রংয়ের কাপে (কাল রংয়ের তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি)চা দেরীতে ঠান্ডা হয় সাদা রংয়ের কাপে (সাদা রংয়ের তাপ শোষণ ক্ষমতা কম)শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি কঠিন মাধ্যমে ।শব্দের গতি সবচেয়ে কম বায়বীয় মাধ্যমে ।তিনটি মূখ্য বর্ণ লাল, সবুজ ও নীল ।৪০ সে: তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সর্বোচ্চ ।ইউরেনিয়াম, নেপচুনিয়াম প্লুটোনিয়াম হলতেজস্ক্রিয় পদার্থ ।রাবারের স্থিতিস্থাপকতা কম এবং লোহা বা ইস্পাতের স্থিতিস্থাপকতা বেশি ।উন্নত ধরণের বিস্ফোরোক আবিষ্কার করে ধনী হয়েছিলেন আলফ্রেড নোবেল ।ডিজিটাল ফোনের প্রধান বৈশিষ্ঠ ডিজিটাল সিগনাল ডেটাবেজ ।পীট কয়লা ভিজা ও নরম ।তাপ আটকা পড়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে বলে গ্রীনহাউজ ইফেক্ট।পরমাণু ভেঙ্গে প্রচন্ড শক্তি সৃস্টি করাকে বলে ফিউশন বিক্রিয়া ।বায়ু এক প্রকার মিশ্র পদার্থ ।লোহার উপর দস্তার প্রলেপ দেয়াকে বলে গ্যালভানাইজিং ।আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটে মরিচিকায় ।পানি বরফে পরিণত হলে আয়তনে বাড়ে ।পানি কঠিন, তরল ও বায়বীয় অবস্থায় থাকতে পারে ।বৈদুতিক বাল্বের ফিলামেন্ট তৈরী টাংস্টেন দিয়ে । • CFC বা ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ধ্বংস করে ওজন স্তর ।ডুবোজাহাজ হতে পানির উপরে দেখার জন্য ব্যবহৃত হয় পেরিস্কোপ ।ব্যাটারি হতে পাওয়া যায় ডিসি কারেন্ট ।সর্বোত্তম তড়িৎ পরিবাহক তামা ।ডিনামাইট আবিস্কার করেন আলফ্রেড নোবেল ।পারমাণবিক চুল্লিতে মডারেটর হিসেবে ব্যবহৃত হয় গ্রাফাইট ।শব্দের চেয়ে দ্রুত গতিতে চলে সুপারসনিক বিমান ।বায়ুতে বা শুণ্য স্থানে শব্দের গতি x১০১০ সে. মি. ।কাঁচা লোহা, ইস্পাত ও কোবাল্ট চুম্বক পদার্থ ।আলোর নিয়মিত প্রতিফলণ ঘটে দর্পনে ।স্টিফেন হকিন্স একজন পদার্থবিদ ।পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি জীবাস্ম জালানি ।জীব-জগতের সবচেয়ে ক্ষতিকর রশ্মি অতি বেগুণী রশ্মি ।এক্সরে এর একক রনজেন ।তেজস্ক্রীয়তার একক কুরি ও এর আবিস্কারক হেনরী বেকুইরেল ।রেডিয়াম আবিস্কার করেন মাদাম কুরি ।পারমাণবিক বোমা উৎপন্ন হয় ফিশন পদ্ধতিতে ।হাইড্রোজেন বোমা উৎপন্ন হয় ফিউশন পদ্ধতিতে ।পারমানবিক ওজন = প্রোটন ও নিউট্রনের ওজন ।প্লবতা সূত্র আবিস্কার করেন আর্কিমিডিস ।দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিস্কার করেন গ্যালিলিও ।গতির সূত্র আবিস্কার করেন নিউটন ।আপেক্ষিকতার সূত্র আবিস্কার করেন আলবার্ট আইনস্টাইন ।মৌলিক রাশিগুলো হলো দৈর্ঘ, ভর, সময়, তাপমাত্রা, তড়িৎপ্রবাহ, দীপন ক্ষমতা ও পদার্থের পরিমাণ।লব্ধ রাশি বল, ত্বরণ, কাজ, তাপ, বেগ প্রভৃতি ।ভেক্টর রাশি সরণ, ওজন, বেগ, ত্বরণ, বল, তড়িৎ প্রাবল্য, মন্দন, ভেদাঙ্ক ইত্যাদি ।স্কেলার রাশি দৈর্ঘ, ভর, দ্রূতি, কাজ, তড়িৎ বিভব, সময়, তাপমাত্রা ইত্যাদি ।পরিমাপের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি হল এস. আই. (S.I.) • ভর হচ্ছে পদার্থের জড়তার পরিমাণ।এই মহাবিশ্বে পরম স্থিতিশীল এবং পরম গতিশীল বলে কিছু নেই ।নিউটনের গতি সূত্র তিনটি । নিউটনের বিখ্যাত বই – “ন্যাচারাল ফিলোসোফিয়াপ্রিন্সিপিয়া ম্যাথমেটিকাবিদ্যুৎ শক্তির হিসাব করা হয় কিলোওয়াট / ঘন্টা kw/h ১ অশ্ব শক্তি (H.P.) = ৭৪৬ ওয়াট বা ৫৫০ ফুট-পাউন্ডাল শক্তি ।মহাবিশ্বের যে কোন দুটি বস্তুর মধ্যকার পারস্পারিক আকর্ষণ বল হল মহাকর্ষ বল পৃথিবী ও বিশ্বের যে কোন বস্তুর মধ্যকার পারস্পারিক আকর্ষণ বল হল অভিকর্ষ বল ।অভিকর্ষজ ত্বরণ g এর মান পৃথিবীর কেন্দ্রে শূন্য, বিষুবীয় অঞ্চলে সবচেয়ে কম, মেরু অঞ্চলে সবচেয়ে বেশী ।চন্দ্র পৃষ্ঠে অভিকর্ষজ ত্বরণ g এর মান পৃথিবীর মানের ১/৬ ভাগ ।পৃথিবীর মুক্তিবেগ ১১.২ কি.মি./সে. ।মঙ্গল গ্রহের মুক্তি বেগ ৫.১ কি.মি./সে. গ্রহের গতি সংক্রান্ত কেপলারের সূত্র কয়টি তিনটি ।ইস্পাত ও রাবারের মধ্যে বেশী স্থিতিস্থাপক ইস্পাত ।বস্তুর কম্পনের মাধ্যমে উৎপন্ন হয় শব্দ ।পানির তরঙ্গ, আলোক তরঙ্গ, তাপ তরঙ্গ, বেতার তরঙ্গ ইত্যাদি হলো অনুপ্রস্থ বা আড় তরঙ্গ।

 

Copyright @ 2015 KOBISHOVA.